Category: writings

Auto Added by WPeMatico

জীবনের মালা গাঁথি

ভালোবেসে হয়েছি উদাসীন, হয়েছি এক নির্ঘুম
রাতজাগা পাখি।
জীবনের পরতে যন্ত্রণার বীজ বপন করে;
অপেক্ষার শেষ প্রহরে এসে হয়েছি দেশান্তরি!
এলোপাতাড়ি গরমিল হিসেবে খুঁজেছি জীবনের মানে।
সবাই ভাবে আমি নাকি এক সুখের তরি!
ভেসে চলেছি কেবল জলতরঙ্গে দুঃখদের পুঁজি করি।
কেউ বলেনি ভালোবেসে পাশে থেকো,
চলে যেও না এই মনটা কাড়ি।
দিও ভরে ভালোবাসা যা আছে তোমার মায়াবী আঁখি দুটি;
দুর্দিনে পাশে এসে কেউ বাসে না ভালো জানি কোনো দিন।
তুমিও বাসলে না ভালো, তাই হয়েছি দেশে দেশে ঘুরে পাগলিনী!

গোলাপি কানের দুল

তলববারে চা–বাগান মালিকেরা এক সপ্তাহের মজুরি একত্রে দিয়ে থাকেন শ্রমিকদের। প্রতি সপ্তাহে তলববারকে কেন্দ্র করে চা–বাগানের মাঝখানে টিলা পাহাড়ে হাট বসে। সাধারণত টিলা পাহাড়ের হাট থেকে বাগান পাড়ার মানুষগুলো ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন। সারা দিনের ঘর্মাক্ত কাপড়গুলো গা থেকে ছাড়িয়ে, স্নান সেরে কপালের সিঁথিতে লাল টুকটুকে সিঁদুর দিলেন মেনকা রানী।

যেভাবে বুঝবেন, আপনি জীবনে কী চান

বিশ্বের বুকে নেমে এল নতুন আরেকটি বছর। জীবনে আমরা কী চাই বা লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, তা খুঁজে বের করার এখনই উপযুক্ত সময়। সে অনুযায়ী নতুন বছরকে রাঙিয়ে তুলুন। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন, আপনি জীবনে কী চান? চলুন, একটা তালিকা করে নিই। তাহলে সহজেই বুঝে যাবেন।

এসো শান্তির নিশানতলে

সুখের জাগ্রত প্রহরী; বুকভরা বিশুদ্ধ নিশ্বাস
স্বপ্নীল আকাশ, মমতার মৃত্তিকা, মায়াময় শীতল স্পর্শ
একটু শান্তি—
জলনিধির উচ্ছল তরঙ্গ; কাশফুলের শুভ্র হাসি
মিষ্টি রোদের নরম ছোঁয়া, ইন্দুর মুক্তোঝরা জোছনা।
একটু শান্তি—
পিকাসোর শ্বেতশুভ্র পারাবাত;
তোমার-আমার, আমাদের ভালোবাসার পৃথিবী
হৃদ্যতার বন্ধন, বিশ্বময় সম্প্রীতি।
আর নয় যুদ্ধ, বর্বরতা, হত্যাযজ্ঞ

মায়াবতী

একজোড়া আঁখি চেয়ে আছে অপলক
অমন করে কী দেখছে মায়াবতী?
নয়নে যে অথই মায়ার সমুদ্র-
রাশি রাশি ঢেউ খেলে
দেখছি মন ভরে কূল কিনারা কোথায়।
নক্ষত্রের পিছে দৌড়ে কি
কেউ নক্ষত্র গুনতে পেরেছে মায়াবতী?
আকাশটা সুন্দর সীমাহীন বলে
জানিনা তোমার প্রতি এত টান কিসের
বৃথা আশায় কেন মায়ার আয়োজন?

স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরতে হয়

প্রেষণা চক্রের মূল বিষয় হলো, ব্যক্তি কোনো কিছুর অভাববোধ থেকে তাড়িত হয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তার করণীয় আচরণটুকু করে সর্বোচ্চ দিয়ে দেন উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য। তারপর খানিকটা বিশ্রামের পর আবার নতুনভাবে অভাব বোধ করে কোনো কিছুর পেছনে আবারও ছুটে চলে। এভাবেই মৃত্যু পর্যন্ত সে এই চক্রের অধীন।

অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি জটলা বাঁধে বারংবার
সুখের দল পরাস্ত গুমোট আর্তচিৎকারে।
কান্নার নোনাজলে মুছে যায় পঙ্‌ক্তিমালা,
অব্যক্ত পাপগুলো বিষ ছড়ায় বিবেকে;
আত্মরক্ষায় আত্মসমর্পণ করি ইমানের কাছে।
হাতের কাঁপুনিতে ছিটকে যায় কবিতার কলম,
যেন ছিন্নভিন্ন ছন্নছাড়া একটি অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি।
অতঃপর…
আমি ঘুমিয়ে পড়ি পরিত্যক্ত কাগজের ওপর।

তুমিই আমার বেলা শেষের, শেষ গল্পের ছায়া

সারাক্ষণ উবু হয়ে পড়ে থাকতাম তোমার ইনবক্সে, কখন টুং করে আসবে তোমার ম্যাসেজ। তোমার ইনবক্সের সবুজ বাতি আমায় খুব টানতো। নতুন নতুন স্বপ্ন দেখাতে─এই বুঝি নতুন আলো জ্বলছে। তোমার একটু হাসি, একটু মিষ্টি চাহনি; আমাকে দিশাহারা করে তুলত। ভাবছিলাম তোমাকে একটা চিঠি লিখব। ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ভাইবার—আধুনিকতার এই যুগে চিঠি তো লেখা হয় না।

প্রতীক্ষা

শুষ্ক ধরায় আজন্ম প্রেমের প্রত্যাশা-
তৃষ্ণিত রাধার প্রতিক্ষা যেন শেষই হয় না।
একটু ছোঁয়া, আলিঙ্গন, উষ্ণতার আকাঙ্ক্ষায়
বালিকার নিষ্প্রভ রুক্ষ দৃষ্টি আজ নিবন্ধ শূন্যতায়।
ক্ষীণ আলোকরশ্মি যতই উজ্জ্বলতর হয়
চক্রবৃদ্ধি হারে তার আকাঙ্ক্ষা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।
পরবাসী বনমালী কি জানে,
কতটা তৃষ্ণা বুকে নিয়ে রাধা একেকটি দিন গোনে?

নতুন বছরে সবার জীবন কল্যাণের প্রাচুর্যে ভরে উঠুক

বিদায়ী বছরের দুঃখ-বেদনা, নৈরাশ্য, স্বজনহারা আর্তনাদ, স্থবিরতা, হতাশা ও বঞ্চনাকে পেছনে ফেলে ভালো কিছু প্রাপ্তির স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বরণ করে নেয় নতুন বছরকে। তরুণ সমাজের নববর্ষের শুরু হোক উদ্ভাবনীমূলক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে। আমাদের প্রত্যেকের ভালো পরিকল্পনাগুলো সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে যদি নতুন বছর শুরু করি, তাহলে দেশের সামগ্রিক উন্নতি হবে।