Category: writings

Auto Added by WPeMatico

তাড়াতাড়ি চলে এসো কিন্তু

আচ্ছা, তুমি কখনো এটা চিন্তা করেছ কি, তোমার হবু বউটা কেমন হবে? আমি সব সময় তোমার কথা চিন্তা করি। জানি না, তুমি কে কিংবা কেমন। এটুকু নিশ্চিত বলতে পারি, তুমি শুধু আমার। আমার সবটা জুড়ে যেভাবে তুমি মিশে থাকবে, একইভাবে তোমার সবটা জুড়ে শুধু আমিই থাকব।
আচ্ছা, তুমি কি সেই অগোছালো আমিকে তোমার করে নিতে পারবে? এলোমেলো এই আমিকে কি তুমি তোমার ‘তুমি’ করে নিতে পারবে?

হৃদয়ের প্রাচীর

হৃদয়কে ছুঁতে হৃদয় বাড়িয়েছি অনেক আগেই
জানিনা, কোন ভয়ে দূরে সরে আছ,
শুনতে চাও না নদী ও নারীর কবিতা।
পাহাড়পুরে গতকাল থেকে শীত নেমেছে
ভেবেছি নীল শাড়ি ও নীল চাদরে দেখতে পাব তোমায়
প্রকৃতির খুব কাছে, খুব আদরে
যদি প্রিয় ভেবে আসতে, একবার গ্রহণ করতাম সাদরে।

এখানে এখন অন্ধকার

সমাজে এখন মানবিক মানুষের ভীষণ অভাব। কারও ভালো কেউ চায় না। সবাই অন্যের সম্পদ ভোগদখল করতে ব্যস্ত। দুর্নীতি আর অপকর্মে ক্রমাগত বেড়ে চলছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। এদের রুখতে কেউ আসে না। বরং এই অপরাধে শামিল হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদ। অপরাজনীতিও জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। দেশজুড়ে আতঙ্কের তাণ্ডব চলছে প্রতিনিয়ত। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতি মুহূর্তে বেড়েই চলেছে। এর প্রভাব পড়ছে দিনমজুরের সংসারে। সংসারের হাল ধরতে দিশাহারা হয়ে পড়ছে অসংখ্য মানুষ। দুবেলা দুমুঠো ভাতের জোগাড় করতে ক্রমে শরীরের ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। দেশজুড়ে গরিব মানুষের মনে কষ্টের কোনো সীমা নেই। আজকাল কাকের দখলে মানুষের জঠর। ক্ষুধা নিবারণের অন্ন নেই। নদী বিধৌত মানুষগুলো বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বছরের পর বছর। নদীর জলে ভেসে যাচ্ছে বসতি-ঘরগুলো। নদীর দখলে পড়ে যাচ্ছে ফসলি জমিগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত অভাব-অনটন বেড়েই চলেছে। কোথাও কোনো শান্তি নেই। চারদিকে শুধু শোকের আহাজারি।

সব বাধা পেছনে ফেলে নারীর এগিয়ে যাওয়ার গল্প ‘সাতকাহন’

পড়াশোনা, চাকরি, একা থাকা ইত্যাদি সময়গুলোতে তার জীবনে অনেক বন্ধু এসেছে, চলে গেছে, কিন্তু কেউ স্থায়ী হয়নি। ভালোবাসার রূপ নিয়ে পরিস্থিতি কিংবা ভাগ্যের লেখার বদলেতে আলোক এসেছিল দীপাবলির জীবনে। স্বাবলম্বী দীপাবলী ভালোবেসে বিয়ে করে সংসারীও হয়েছিল। চাকরি আর সংসার উভয়ই ঠিকভাবে চললেও একটা সময়ের পর একটাকে বিসর্জন দিতে হলো। জীবনপথে সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত না হওয়া দীপাবলীকে আবার একা হতে হয়েছে।

নিয়তির নৈকট্য

হয়তো সেই রক্তের রং লাল ছিল না
তবু সূর্যটাকে রাজি করানো বাজিতে
একা আমি নিজের মতো করে;
কাঁটার পর্বত মাড়িয়ে হলেও তোমাকে চাই!
অগ্নিগিরির পানে চেয়ে থাকা হৃদয় চোখ,
মর্মপীড়া গলে কবে শীতল হবে?
অপেক্ষার বয়স, হলেও হাজার বছর;
আপনারে সঁপে দিতে আমি তোমাকে চাই!
তোমাকে চাই আমি, তোমাকে চাই।

মিছিলেই প্রথম দেখা

আমি জানি সে আমার এবং আমার মতো অনেক প্রেয়সীর গোপন মনের অনিরুদ্ধ
আমরা শৃঙ্খল ভেঙে আসতে পারি না
সামাজিক ভয়,
পারিবারিক উৎপীড়ন অথবা নীরব মানসিক অবক্ষয়
কিন্তু সে সব অবস্থাতেই রাজপথে
নির্যাতিত নিপীড়িত জনগণের হয়ে কথা বলে
কি রোদ কি বৃষ্টি কি পুলিশের আক্রোশ
কিছুই তাকে দমিয়ে দিতে পারে না
সে আমার মনেও থাকে প্রতিবাদী এক প্রিয়তম হয়ে
তার কণ্ঠই হোক আগামী দিনের দিনবদলের ডাক
তার হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।

অধিকার হারানো

নীতুর বিয়ের দিন। আনিসকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না বন্ধুরা। ফোনও বন্ধ। ওর মেসেও ঢুঁ মেরে আসা হয়েছে কয়েকবার। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, রাতে ঘরে ফেরেনি সে। কোথাও না পেয়ে ওদের কয়েকজন গেল আনিসের গ্রামে। যদি সেখানে পাওয়া যায়! সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা শেষ কবে আনিস গ্রামে গেছে, ওদেরও ঠিক মনে পড়ে না।

সুখ

আমি তখন বক দম্পতির কথা বেমালুম ভুলে যাই। অচিনপুরের পাখিদের ওপর ভীষণ খেয়ালে চোখ বুলাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে। কয়েক মুহূর্তেই ওরা হারিয়ে যায় গাছের আড়ালে দূর আকাশে। দৃষ্টি তখন আটকে আসে মৃদু হাওয়ায় দুলতে থাকা গাছের পাতায়। গাছ হয়তো বাতাসের কথা, সুর, লয়, তাল বুঝতে পারে। সেকারণে সে হাওয়ায় দুলতে থাকে আপন মুদ্রায়।

চোখ কথা বলে

চোখ কথা বলে রহস্যের,
যেখানে এক সহস্র ধাঁধার সমাহার।
চোখ কথা বলে দুঃখের
চাহনিতে নেমে আসে আঁধার,
ক্রূরতার আগুনে জ্বলজ্বলে বার্তা
আর কথা বলে সংশয়ের।
চোখ কথা বলে সত্য–মিথ্যার
বার্তা দেয় রহস্যের,
ডুবে থাকা একরাশ ভাবনার,
কথা বলে কবিতার।

নির্জন আহ্বান

আমাকে দুঃখ দাও আরও
দেখো ভেদ করতে পারো কিনা!
কঠিন হৃদয়; তবু গলে যায়
হাসনাহেনার গন্ধ ভরা হাওয়ায়।
তুমি পারবে না; নাকি পারবে?
নিশীথের অন্ধকার হয়ে এলে; আলো নয়-
তবে হলেও হতে পারে ক্ষয়।
যে অন্ধকারে মানুষের হৃদয়ে ঘুম আসে মৃত্যুর মতো,
পৃথিবীর ওপারে পাড়ি দেয় আমাদের মন; ফিনিক্স পাখির মতো,
আসো দুঃখ ঢালো দেখি—
যদি হয় রক্তক্ষরণ; তবে বিক্ষত হৃদয় নিয়ে জেগে রবে মন।