Category: writings

Auto Added by WPeMatico

প্রতিশ্রুতির ভাঙন

আজ হঠাৎ হানা দেয় হেমলক।
‘আত্মহত্যা মহাপাপ’—ঠোঁটে নিতেই
জাগ্রত বোধ।
সূর্যের দহনে যেভাবে হারিয়ে যায় শিশির
নাম লেখায় নিরুদ্দেশে,
কপাল ভেজানো অশ্রু ঠিক তা–ই;
নীরবতায় মিলিয়ে যায় ব্যস্ততার রেশে।
আমি শুধু ভাবি, ভালোবাসা বুঝি
মৃত্যুঞ্জয় আর বিলাসীদের চায় না,
দেনাপাওনার সংবিধানে শরীর ও মন
এক অপ্রধান খসড়া; নিরর্থক বায়না।

বন্ধুদের রোপণ করা চারা গাছ এখন বৃক্ষে পরিণত হয়েছে

বন্ধুরা কেবল গাছের চারা রোপণই করেন না, সেগুলোর নিয়মিত পরিচর্যাও করেন। তারই প্রমাণ এই গাছগুলো। ফেনী বন্ধুসভার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযাদ্ধা আবু তাহের বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময় জানতে পারি ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের শহীদ মিনারের আশপাশে নানা ধরনের আগাছা জন্মেছে। বন্ধুসভার বন্ধুদের নিয়ে সেটা পরিষ্কার করা হয়। তখন ওই কলেজের মেয়েদের হোস্টেলের পাশে বন্ধুসভার উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের ফলের চারা লাগানো হয়েছিল। পরিচর্যায় গাছগুলো এখন বড় হয়ে ফল দিচ্ছে। হোস্টেলের ছাত্রীরা জলপাই–আমড়া খেতে পারে। আমাদের শ্রম সার্থক বলেই মনে করি।’

বগুড়া—সাধ্যের মধ্যে সুখ-শান্তির সব উপাদান রয়েছে যেখানে

বগুড়ায় রয়েছে প্রথম আলো বন্ধুসভা, লেখক চক্র, খেলাঘর, বগুড়া থিয়েটার, রক্তদান সংগঠনসহ বেশকিছু ভালো সংগঠন। এসব সংগঠনে যুক্ত হলে আপনি জ্ঞানীগুণী মানুষদের সঙ্গে মিশতে পারবেন, আড্ডা দিতে পারবেন। আপনার জ্ঞানের পরিধি যেমন বাড়বে, তেমনি একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতেও সাহায্য করবে।
এবার আসি যাতায়াত খরচে। বগুড়ায় এখনো রিকশায় ১০ টাকা ভাড়া আছে। মোটামুটি আধা-এক কিলো রাস্তা ১০ টাকাতেই যাওয়া যায়। রয়েছে সিএনজির ব্যবস্থা। ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তায় ২০ টাকা ভাড়া দিয়েই চলাচল করা যায়। একটু দূরের রাস্তার জন্য রয়েছে বাসের ব্যবস্থাও।

মায়াবী বন্ধন

প্রকৃতির তপস্যায় থাকে অনুরাগের পরাগমাখা প্রহর
নীরবতার অবয়বে ঢেকে যায়
প্রতিদিনের এই ব্যস্ততম শহর।
রোজ বিকেলের মায়াপুরে
অপূর্ণ ইচ্ছেরা জড়িয়ে যায় পূর্ণতারই ভিড়ে,
কোলাহল শেষে ডাহুকেরা ফেরে যখন
সব ভুলে আপন আপন নীড়ে।
এই মায়ারই জালে ডুবে তোমার সাথে প্রণয় বাঁধি সুখে
হোক না শুরু এই ক্ষণেরই কোন সে সাধ্য তবে রুখে।

কষ্টের ফেরিওয়ালা

একচিলতে নরম রোদের মতো হেসে
এগিয়ে আসে কোনো কোনো প্রিয়মুখ—
বসে ভাঙা আরাম কেদারায়।
দৃঢ়প্রত্যয় ছুঁয়ে নামে কমলা বিকেল।
কষ্টগুলো ক্রমশ পিছু হাঁটে।
সন্ধ্যায় জোনাকির শরীরে নামে
নক্ষত্রের রুপালি আশীর্বাদ।
বাতাসে ভেসে আসে ভালোবাসার ঘ্রাণ।
কষ্টগুলো তখন দূরে যায়—
মিশে যায় নিকষ কালো অন্ধকারে।

এপাশ–ওপাশ

এপাশে যে দুটো বৃক্ষ, তা কচি সুপারির ঢোসে আটকা
উঁকি মারা চোখ ডিম ফোটা
ছা–য়ের মতো!
একটা সলতে, ছোট্ট ঘর
আলো আলো আলো বলে চিৎকারে
প্রাণ ফোটবার আগেই
বোঝা গেল ওপাশ ওপাশই
ওপাশ কখনো এপাশ হয় না!

দিঘল রাত

এসো উষ্ণ আলিঙ্গনে জোছনা গায়ে মেখে
এসো সকল দ্বিধা ভুলে মাতি উন্মত্ত প্রেমে
দিঘল রাতের মধুর আয়োজনে
এসো আদিম উল্লাসে মিলে যাই
যেন এক মোহনায় দুটি নদী এসে মিলে যায়
ফেনিল স্রোতোধারায়, চৈত্রের ভরা পূর্ণিমায়।

খোলা জানালায় উঁকি দেয় মেঘ

আমাদের প্রগাঢ় সুখের ঘরে বিচ্ছেদের রং লেগেছে।
এখন আর মায়াবনে মুক্তা ছড়ায় না ভালোবাসা এসে।
চুপিচুপি নক্ষত্র হাসে না আর হৃদয়ের টানে।
দমকা হাওয়ায় উড়ে গেছে সব সুখ ওই দূরদেশে।
আমরা ভেসে যাই দূর থেকে আরও দূরত্বের
সীমারেখা টেনে।
গভীর সমুদ্রে অকপটে হেসে, সব প্রশান্তি দুহাতে রেখে।
কখনো দুর্ভাগ্যের চাকা পালাক্রমে ফিরে ফিরে আসে;
এই হৃদয়ারণ্যের আলগোছে স্মৃতির বাঁকে বাঁকে।
খোলা জানালায় উঁকি দেয় মেঘ, খানিকটা গোমড়া মুখে।

বন্ধু রবে হৃদয় স্পন্দনে

বিবাহ করেছেন খুব বেশি দিন হয়নি। এবারই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করলেন। ২১ এপ্রিল তারঁ স্ত্রীসহ পরিবারের সঙ্গে কিছু ছবিসহ ক্যাপশনে লিখেন, ‘আমাদের গত দিনগুলো ছিল দুর্দান্ত ও স্মরণীয়। এ যাত্রাটি সত্যিই আবেগ, মজা, যত্নশীল এবং আরও অনেক কিছুতে পূর্ণ ছিল…। আমার হৃৎস্পন্দন ক্রমেই কমছে এবং আমি জানি না কীভাবে আপনাকে এই সময় বিদায় জানাব…। স্মৃতির চেয়ে সময় দ্রুত উড়ে যায়।’

মনদোলানো কৃষ্ণচূড়া

কৃষ্ণচূড়া বাংলাদেশের খুব পরিচিত একটি ফুল। শহর-বন্দর, নগর, গ্রাম—সব জায়গায় দেখা মেলে এই ফুল গাছের। উচ্চতায় ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হলেও ডালপালার বিস্তৃতি অনেক। চারপাশে ডালপালা শাখা-প্রশাখার বিস্তারে বেশ ঝোপালো হয় ও অনেকটা অঞ্চলজুড়ে এর ব্যাপ্তি থাকে। এই গাছ যথেষ্ট ছায়া দিতে পারে। পাতাগুলোও অনেক সুন্দর। গাঢ় সবুজ চিরল চিরল পাতা, ফুলদণ্ড লম্বা। একসঙ্গে অনেক ফুল ফোটে। লাল, কমলা ও হলুদ রঙের ফুলগুলো এতই বেশি ফোটে যে দূর থেকে মনে হয় যেন কোথাও আগুন লেগেছে!