Category: writings

Auto Added by WPeMatico

প্রেমের আহ্বান

তোমার চোখজোড়া যেন একরাশ মুগ্ধতা ছড়িয়ে
আমাকে আনন্দে মাতাল করে রেখেছে।
সে চোখের মৃদু স্পর্শ চাইবে আমার ব্যাকুল ঠোঁট।
তোমার উড়ন্ত চুলগুলো যেন
ময়ূরের পেখম মেলে নাচছে।
তোমার আলতা রাঙা চরণে যেন
লাল পদ্ম হাসছে।
এ যেন অপার্থিব প্রেমের আহ্বানে
আমাকে ঘিরে রেখেছে।

হইচই ছেলেবেলা

জমির শেখের আমবাগানে হব আমি গাছি।
পাড়ার সবে বকবে আমায় বলবে খ্যাপা ছেলে
সারা পাড়া মাথায় তুলব খানিক সময় পেলে।
ক্ষণে ক্ষণে বিচার আসবে বাবা-মায়ের কাছে
বাঁশের কঞ্চির দুচার ঘা পড়বে পিঠের পাছে,
এক ঠ্যাঙে দাঁড়িয়ে থাকব সূর্যমুখী হয়ে
শীতলক্ষ্যায় অপমান সব যাবে জলে বয়ে।
এমন করেই কাটবে বেলা বন্ধু তোরা কই রে
আয় ফিরে আয় মায়ের কোলে ডাকে হইচই রে।

মাতৃতুল্য প্রিয় শিক্ষক

ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরে আসি। ম্যামের আন্তরিকতা আমাকে দারুণ মুগ্ধ করেছে। সেদিনের পর থেকে নিয়মিত ক্লাসে যেতাম। দিন যত যাচ্ছিল, বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে একটা আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল। সব শিক্ষক আমাকে পছন্দ করতেন। তবে খালেদা খানম ম্যামের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে উনাকে আন্টি বলেও সম্বোধন করতাম। তিনি তখন মৃদু হাসতেন।

লক্ষ্মীটির অসুখ বেঁধেছে

বসন্তের বিদায় কিংবা পাতাঝরা শীতে,
আমি একটুও মন খারাপ না করলেও,
আজ স্থির নেই, বেদনাহত—
আমার লক্ষ্মীটির যে অসুখ বেঁধেছে।
পৃথিবীর বুকে নতুন সৃজন হোক,
গল্প বলার মানুষের সংখ্যা বাড়ুক,
আমার লক্ষ্মীটি সুস্থ হয়ে যাক—
তবে আমার মন ভালো হবে জানি।

বৈশাখের ক্যানভাস

পুষ্করিণীর জলে সাঁতরায় দুষ্ট কিশোরের দল
মেঘমুক্ত আকাশে রাক্ষুসে সূর্য করে ঝলমল।
তারাভরা রোশনাই আকাশে জেগে থাকে চাঁদ
নির্ঘুম রাতগুলো বিরক্তিকর এক মৃত্যুর ফাঁদ।
কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে আসে বৈশাখী ঝড়
ক্ষতি করে ফসলের তছনছ হয় কাঁচা বাড়িঘর।

দূরত্ব

স্নেহের বাঁধন যেন ছিল অমৃতের ধারা
এখন সে নিজেকে বাঁধে প্রজ্ঞার জলধারায়।
আলোর খোঁজে, আঁধার ছেড়ে দেবে,
হৃদয়ের প্রতিটি রঙে, একটি নতুন আলো জেগে উঠবে।
এখনো মনে রয়েছে
সেই ছোটবেলার খেলা,
এখনো মনে ভাসে
বহুদূরের ভালোবাসার যাত্রা।
দূরত্বে জোটে না আর কোনো স্মৃতি
এ যেন একাই বিপ্লবের স্মৃতির সারথি

আপনি আমার সুখ

কিছু সুন্দর সময়। কিছু নির্ঘুম রাত। যখন কথা হবে না আমাদের বহুকাল। কথা বলার জন্যে বুকের ভেতরটা হাঁসফাঁস করে উঠবে। অলিন্দ নিলয়ে প্রিয়জন হারানোর ব্যথাটা বেড়ে যাবে দ্বিগুণ। তখন স্মৃতি রোমন্থন করব আজকের এই নির্ঘুম প্রশান্তিময় সময়টাকে।

এটাই বুঝি নিয়তি

ডালে ডালে পাখিরা গাইবে গান
দখিনা বাতাসে দোলাবে সকল কাণ্ড
কে জানে এমন হবে? অকল্পনীয় চিন্তাদের ভিড়
বৃক্ষে নতুন পাতা গজালেও আমি রইলাম—
পাতাঝরা শুকনা বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে!
ধৈর্যের আঁখিতে অসময়ে বন্যার জোয়ার
মেনে নিয়েই চলতে হবে আরও কিছুটা সময়
বুঝলাম ছন্দপতন—এটাই বুঝি নিয়তি!

আদিবের বৈশাখ

বাবা মেলার জন্য নতুন টি-শার্ট কিনে এনেছেন, মা জুতা কিনে দিলেন, দাদি দিলেন চকচকে দুটি ৫০০ টাকার নোট। উপহার পেয়ে আদিবের খুশি যেন দ্বিগুণ হলো। নোটপ্যাড বের করে লিখল, একটা ওয়াটার গান, মাটির হরিণ, টমটম গাড়ি, লম্বা বাঁশি যেটা ফুঁ দিলে জোড়ে শব্দ হবে। ‘মেলায় যাইরে’ গানটিও মুখস্থ করে ফেলেছে প্রায়। উল্লাসে, আনন্দে কেটে গেল দিনটি। রাতে সব কটি উপহার জড়ো করে ঘুমাতে গেল।

তাপপ্রবাহে মনের যত্ন

সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও শ্রমজীবী ব্যক্তি, যেমন রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক এবং যাঁদের ওজন বেশি, যাঁরা শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষ করে যাঁদের হৃদ্‌রোগ বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের শরীরের প্রতি যেভাবে খেয়াল রাখতে হচ্ছে, ঠিক একইভাবে মানসিক দিকটাও দেখতে হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা এক ভয়ানক আতঙ্কে বাস করছেন।