Auto Added by WPeMatico
একসময় বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মফস্সল শহরেই এমন কিছু মানুষ ছিলেন, যাঁরা ছিলেন সাহিত্যসেবী, সংস্কৃতিপ্রেমী। তাঁদের মধ্যে জীবনসায়াহ্নে পৌঁছে কেউ কেউ হয়তো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন, কেউ বা মারা গেছেন। ঝিনাইদহ শহরের শেখ মিজানুর রহমান ছিলেন এমনই একজন। ২৫ এপ্রিল সকালে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। ঝিনাইদহের সাংস্কৃতিক বিকাশে তাঁর রয়েছে বিস্তর অবদান।
স্মৃতির বিনির্মাণ কি সম্ভব? সামষ্টিক অবচেতনের গভীরে গেঁথে থাকা স্মৃতি, যার ওপর বছরের পর বছর জমেছে—মোট হিসাবে ৩৬ বছর। ঘরোয়া জটলায়, পাড়ার আড্ডায়, কানকথায় বা ফিসফাসে ভেসে ভেসে স্মৃতি কি রূপকথা হয়ে যায়?
‘টকিং স্টেজ’, ‘ব্রেডক্রাম্বিং’, ‘সিচুয়েশনশিপ’—সম্পর্কের নতুন নতুন অভিধা আজকাল দেখতে পাই। স্মার্টফোন পকেটে নিয়ে বেড়ে ওঠা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্পর্কের নোঙর টানা ‘জেন-জি’রা (১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম) প্রেমকে ‘মনোগামী’ ও ‘পলিগামী’র দ্বৈততায় আর বাঁধেন না।
বন্ধুরা সবাই তখন পড়াশোনা শেষ করে চাকরিতে ঢুকছে। আমার এইম ইন লাইফ অন্ধকার। সকাল–বিকেল টিউশনি করি আর রাত দশটার পর ভিসিডি বা ডিভিডি ভাড়া করে একটার পর একটা হলিউড-বলিউডের সিনেমা দেখি। এভাবেই কাটছিল দিন।
ভর্তির পর রানা প্রায়ই আসত জাহাঙ্গীরনগরে। একসময় শহীদ সালাম-বরকত হলের ৩৪৯ নম্বর কক্ষটি ওরও ঠিকানা হয়ে উঠল যেন।
নব্বইয়ের দশকে যাঁদের গান শুনে আমার বেড়ে ওঠা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম খালিদ ভাই। পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ হলেও সংগীতাঙ্গনে তিনি পরিচিত খালিদ নামেই। ব্যান্ড দল চাইমের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে প্রথম পরিচিতি পান তিনি।
ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর পাখিদের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা। অসুস্থ পাখিদের শুশ্রূষা করা, পাখির বাসা থেকে পড়ে যাওয়া পাখির বাচ্চাদের লালন পালন, সেবা করে বনে উন্মুক্ত করতেন আমাদের এই প্রিয় মানুষ।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক নূরুল আলম আতিকের সিনেমা মানেই ব্যতিক্রমধর্মী ও নতুনত্বের ছোঁয়া, যা হামেশাই দর্শকদের মনস্তত্ত্বে চিন্তার খোরাক জোগায়। ভিন্নধারা, আলাদা ভাবনা ও অন্য ধাঁচের চলচ্চিত্র নির্মাণে পরিচালক আতিকের জুড়ি নেই।
১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় বন্ধু টিপু অনুরোধ করল ওর এলাকার ছোট বোন একজন আসবে, তাকে রুমে রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থীরা কোনো না কোনো পরিচয়ের সূত্র ধরে হলেই থাকে।
শান্তিনিকেতনের মায়াবী পরিবেশে আড্ডা দিয়ে দুটো দিন অত্যন্ত দ্রুত ও আনন্দের মধ্য দিয়ে কেটে যায়। তখন কি জানতাম, এই সব শিল্পীর অনেকেই আমার টেলিভিশন–জীবনকে সমৃদ্ধ করবে পরবর্তী কয়েক দশক।
