Category: writings

Auto Added by WPeMatico

মন খারাপের দিনে যা করবেন

ইটপাথরের নগরের ব্যস্ততার ফাঁকে দীর্ঘ মন খারাপের সময় কাটিয়ে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন বন্ধুদের নিয়ে দূরে কোথাও। মন শীতল করতে পারেন সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে স্রষ্টার সাজানো অপার প্রকৃতি দেখে। যেতে পারেন বান্দরবানের নীলগিরি, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়, বাংলাদেশের ‘দার্জিলিং’খ্যাত খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে। ঘুরে আসতে পারেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এবং দেশ ও বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে।

নাটাইহীন ঘুড়ি

শাশ্বত রাত্রির বুকে উদিত হয় প্রথম সূর্য
শিশির শরীর ছুঁয়ে দেয় সুমজ্জ্বল ভোরে
আমি জেগে উঠি গাঢ় নীল অমাবস্যায়
জ্বলতে থাকি নক্ষত্রের লাল–নীল শিখায়।
ডুব দিই অরুণের স্নানে
সবুজ মটরশুঁটি, হলুদ গাঁদা গেয়ে ওঠে উচ্ছ্বাস আনন্দে।
অনন্ত আকাশ খুশির কান্নায় ভিজিয়ে দেয় শুষ্ক মরুভূমি।

বাড়ি ফেরা

একটা স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রিয় মানুষদের ছেড়ে শত মাইল দূরে থেকে সংগ্রাম করছি। তাদের কাছে পেতে গেলে স্বপ্ন দূরে চলে যাবে। আর স্বপ্নকে পেতে গেলে তাদের থেকে শত মাইল দূরে আমাকে থাকতে হবে। অথচ আমি দুটোই চাই। তাদের খুশি করতে চাই। মাঝেমধ্যে খুব ইচ্ছা করে মাকে একটা দিন দেখে আসি। আব্বুর সঙ্গে এক টেবিলে বসে ভাত খেতে মন চায়। তখনই মনে পড়ে ফের বাড়ি ছেড়ে আসার সেই করুণ দৃশ্য—মায়ের চোখে পানি, আমাকে বিদায় দিতে বাবার করুণ সুর, বাড়ির ছোটদের অপলক দৃষ্টি। বোনের কান্না লুকানো চোখ। চাইলেও চোখের পানি আটকে রাখতে পারি না। যত দূর আমাকে দেখা যায়, মায়ের পলকহীন চেয়ে থাকার দৃশ্য। ঠিক তখনই বাড়ি ফেরার ইচ্ছা দূরে কোথাও হারিয়ে যায়।

কেন এতটা আপন করে নিলে!

তুমি নিজেও জানো তোমার এই সহজ প্রস্থান আমাকে কতটা আহত করবে! সবটা জেনেও কি যাওয়াটা খুব দরকার ছিল? থেকে গেলেইবা কী এমন ক্ষতি হতো? যদি যাওয়ারই ছিল, তাহলে কেন এতটা আপন করে নিলে! কেন একেবারে বিলিয়ে দিলে নিজেকে আমার কাছে?

বইয়ের পাতা

জ্ঞানী কথা কয়
জ্ঞান অর্জনে বই পাঠে যে
জ্ঞানের বিকাশ হয়।
বই যে মোদের সেরা বন্ধু
আঁধার করে দূর
চোখে জ্বালে শিক্ষার আলো
মনে বাজে সুর।

দৃষ্টিপথ

সম্প্রতি আবার চোখে ঝাপসা দেখাতে ডাক্তারের কাছে গেলাম। এখন সুগারের জন্য এই ৪৩ বছর বয়সে রোজ রাতে পেটে ইনসুলিন নিই। সুগার রোগীদের চোখে ছানি চলে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। একেবারে অন্ধও হয়ে যেতে পারি। এই দুটো চোখ দিয়ে অনেকটা দেশ কাল সময় সাগর নদী পেরিয়ে এসেছি। দৃষ্টিপথজুড়ে অনেক ইতিহাস আর স্মৃতি। চোখ দুটোকে আরও কিছুটা সময় ভালো রাখা দরকার নতুন অনেক কিছু দেখার, পড়ার আর লেখালেখি করার জন্য।

তোমার জন্য

তোমার জন্য আমার জমিয়ে রাখা দিন
জীবন মাঝে ফুলের রঙে হয়ে আছে রঙিন।
তোমার জন্য আমার ভীষণ অভাববোধ
তোমার জন্য পুড়তে পারি প্রখর রোদ
তোমার জন্য আমার একলা কাটে সময়
ফুরাচ্ছে আয়ু; জীবন নামের ঘড়ির হচ্ছে ক্ষয়।
তোমার জন্য আমার হয়েছে অনেক লেখা গান
তোমার মুখে ফুটবে বলে; ফিরল না আর প্রাণ।
তোমার জন্য হৃদ্‌মাজারে একটি কথা লেখা
তোমার চোখে চোখ রেখে ভালোবাসি বলা।

আজ আকাশে চাঁদ নেই

আমাকে দেখলেই চাঁদটা মেঘের আড়ালে লুকায়। আমার আর চাঁদ দেখা হয় না। সবাই চাঁদটার দেখা পায়, শুধু আমিই পাই না।

আমি তাদের কী করে বোঝাই, হঠাৎ চাঁদ মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেলে তোমার চলে যাওয়ার মতন দুঃখ হয়।

‘সরল সমাজপাঠ’ মানস চৌধুরীর একটি শ্লেষাত্মক রচনা সংকলন

‘ঐতিহ্য’ আমাদের অনুভূতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ। মোটামুটি স্পর্শকাতরও বটে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাখরখানিকে উদাহরণ ধরে রচিত হয়েছে ‘কীভাবে ঐতিহ্যরা হারিয়ে যায়?’। এই বিলুপ্ত কাহন বর্ণনা কারার পর তা সংরক্ষণবিষয়ক একটি আলোচনার তাড়না থেকেই বাংলায় বহুল প্রচলিত আরেক খাদ্যবস্তু ঝালমুড়িকে উদাহরণ হিসেবে ধরে দেখিয়েছেন ‘কীভাবে ঐতিহ্য’ সংরক্ষিত হতে পারে?’ এই ব্যাপারগুলোতে যে উদ্যোক্তাদের চরিত্র-ব্যক্তিত্ব-সামর্থ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ, সহজেই সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ‘আইনের শাসন বলতে কী বুঝবেন?’ এবং ‘স্মাগলার চিনবেন কীভাবে?’ শিরোনামের রচনা দুটিতেও দারুণ দারুণ সব উদাহরণ ব্যবহার করে জটিলসব বিষয়কে নিমিষেই সহজবোধ্য করে তোলা হয়েছে।

তোমার চুল

তোমার চুলের ঢেউ যেন এক নদী
কত দিন বয়ে চলেছে তীর ছুঁয়ে
অথচ ভাঙেনি কোনো বসত-ভিটা
গড়ে দিয়ে গেছে কারও বুকে প্রেম।
তোমার চুলের তীক্ষ্ণ আঁচড় শরীরে
জাগিয়ে তোলে মৃতপ্রায় আগ্নেয়গিরি,
ঘুম থেকে ডেকে তোলে অলস কবিকে
লিখতে বলে তোমার চুলের প্রেমকাব্য।