Category: writings

Auto Added by WPeMatico

অন্ধকারে ভরপুর আলো

দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত-অশ্বত্থের নিচে বসে
দেখি, বুদ্ধের জোছনা পুকুরের জলে নৃত্য করে
ঘুমন্ত মাছের চোখে যখন সাঁতার কাটে চাঁদ
মনে হলো অন্ধকারে নক্ষত্রেরা কথা বলে সব
যেতে যেতে মনে হলো কোথাও যাচ্ছি না আমি
সময়েরা চলে যায় দেহঘড়ির মুহূর্ত নিয়ে
দুরত্বরা হেঁটে যায়—ক্রমে দূরে—মানুষে মানুষে
অদ্ভুত সভ্যতা এক মাটির গন্ধকে গিলে ফেলে
তবুও বাঁচতে চাই—যতটুকু বেঁচে আছি ততটুকু
জানি, অন্ধকারে তবু ভরপুর আলো থাকে
বেদনাকে জমিয়ে দেখেছি সুস্বাদু তরল মদ
যেতে যেতে যেন বলে যাই, সত্যি-জীবন সুন্দর।

বন্ধুসভার কারণে আজ আমি সবার সামনে বলতে পারি

কাজে, আড্ডায়, সাংগঠনিক পরিচর্যায় কেটে যায় দুই বছর। এই দুই বছরে অনেক কিছু শিখি। যেমন সাংগঠনিক কাজ, নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরা, মঞ্চে অভিনয়সহ আরও অনেক কিছু। পাঠচক্রে বই নিয়ে আলোচনা করার ফলে ভেতরের জড়তা কেটে যায়। এখন সবার সামনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে পারি। আর এখন যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন, ‘বন্ধুসভা করে কী পেলে? কেন করছ বন্ধুসভা?’ উত্তরটি গুছিয়েই বলতে পারব। কারণ, এখন আমি বলতে পারি।

প্রাণী আর প্রকৃতির মেলবন্ধনে দার্শনিক উপস্থাপনা ‘রাতজাগা ফুল’

বাংলাদেশটা যে কতটা সুন্দর, এই চলচ্চিত্রের মাসুমে ক্যামেরার ভাষা চিত্রায়ণ না দেখলে বোঝা যাবে না। পরিচালক মীর সাব্বির, কিংবদন্তি আবুল হায়াত, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী ছাড়াও সুন্দর অভিনয় করেছেন আবু হুরায়রা তানভীর, দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, এজাজুল ইসলাম, নাজনীন চুমকী, জয়রাজ, আবদুল্লাহ রানা। ইমন চৌধুরীর সুর অনন্য। শফি মন্ডল, নচিকেতা, মমতাজ, এস আই টুটুল, হৃদয় খান, রাহুল আনন্দ—সবার কণ্ঠে গানগুলো প্রাণ পেয়েছে। দেখলেই বোঝা যায় এই চলচ্চিত্র পরিচালকের বহু রাতজাগা পরিশ্রমের ফুল।

তারুণ্যে ভরা শীতের ঋতু

শীতের সকালে ঘন কুয়াশায় স্নান করে চুপসে আছে প্রকৃতির সবুজ পল্লব। দূর্বাঘাসে ঝিলিক ছড়াচ্ছে সোনালি মিষ্টি রৌদ্দুর। পৌষ পাবনে কাক ডাকা ভোরে শহর আর গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষেরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে ছুটছে কাজের সন্ধানে। শৈত্যপ্রবাহের আবছা আলোয় ঢেকে আছে নগরীর প্রতিটি প্রান্ত। শীত এলেই আমাদের দেশে শুরু হয় পিঠাপুলির বিশাল আয়োজন। ষোলোআনা বাঙালির মহোৎসব শুরু পিঠাপুলির ধুমধাম আয়োজনে। নতুন ধানের গন্ধে ভরে ওঠে কৃষকের ঘর। শুরু হয় আনন্দে মুখরোচক উৎসব। নতুন চালের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত গ্রামের সব বাড়ি। শহরের জীবনেও তার দেখা মিলে। রাস্তার ধারে বসে পিঠা তৈরির ব্যাপক ধুম পড়ে। পাওয়া যায় মুখরোচক সব ধরনের পিঠা।

জীবনের অনিশ্চয়তা

মধ্যবিত্ত সংসারে তাদের বোঝাপড়া বেশ ভালো। অফিস শেষে সে ভ্যান থেকে বাচ্চার জিনিস কেনে, বউয়ের দেওয়া বাজারের লিস্ট আর দুটো গোলাপ কিনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। বাড়ির প্রায় কাছাকাছি এসে মনে পড়ল, আচার যে আনা হয়নি। যা বাবা, বউয়ের আচার ছাড়া মন গলবে না। আবার গেল বাজারে। আচার কিনে মতিঝিলের মোড়ের দিকে যাচ্ছিল যখন, হুট করে পেছন থেকে একটা গাড়ি এসে ধাক্কা দিল। সঙ্গে সঙ্গেই চারদিকের আলো নিভে আসতে থাকে, অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ কানে আসে। তারপর হারিয়ে যায় গভীর ঘুমের অতলে। হারিয়ে যায় স্বপ্নগুলো।

প্রণয় প্রদীপ

আঁকা ছিল ছোট ছোট রঙিন স্বপ্ন
অন্ধকারের জঞ্জাল পেরিয়ে কেউ পড়েনি-
সেই ধূসর প্রণয়ের পাণ্ডুলিপি,
আঁধারের ভয়ে কুঁকড়ে দৌড়ে
পালিয়েছে কাপুরুষের দল।
হঠাৎ তুমি এলে ধুলোমাখা মাকড়সার
জালে ঘেরা পাণ্ডুলিপির খোঁজে,
যতনে জ্বালিয়ে দিলে প্রণয় প্রদীপ

বাংলার প্রকৃতিতে মুগ্ধ মিসরীয় তরুণী নুরহান

নুরহানের বাবা ফৌজি রমদান লিবিয়ার নাগরিক। তিনিও কর্মসংস্থানের কারণে মিসরে বসবাস করেন। মোবারক ও নুরহানের সম্পর্ক জানতে পেরে প্রথমে মেনে না নিলেও একসময় মেনে নেয় পরিবার। ২০১৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এই দম্পতি সুখ ও শান্তিতে রয়েছেন। এক মাস আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশে এসেছেন তাঁরা।

সরিষা ফুলের কাব্য

স্বপ্নগুলো আস্তে আস্তে বাসা বাঁধে বুকের ভেতর
একটু চাওয়া–পাওয়াই।
বুকের মধ্যে পোষা ফুল ডানা মেলতে চায়,
নীল আকাশে মেঘের দেশে হলুদ পরি যায়;
মনে মনে স্বপ্নে ভেসে হারায়।
ও পরি তুই চাসটা কী, যা আমার খেতে নাই?
মুচকি হাসে বলে সরিষা ফুল—
আগে বলেননি কেন আমায়?
ছেলেরা তো এমনি হয়, জানো না তুমি?
ছোট্টবেলা থেকে তোমায় কত ভালোবাসি।

পতাকা কথা কয়

তুমি শুধু পতাকা দেখো
অথচ আমি কেবল পতাকা দেখি না; একাত্তর দেখি
আমি ৭ই মার্চের জনসমুদ্র দেখি; একটা তর্জনী দেখি
আমি পতাকায় ইতিহাস পড়ি- পলাশী থেকে একাত্তর,
তীব্র দহন থেকে আমি উঠে দাঁড়াই; সটান মেরুদণ্ড
কান পেতে শুনি- পতাকার ভেতর ত্রিশ লক্ষ শহীদ
সমস্বরে চিৎকার করে বলছে- ‘জয় বাংলা’।

২৩০ বছরের পুরোনো আজগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ

বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমিখ্যাত চট্টগ্রামে এমন অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, যেগুলোর বয়স ২০০ থেকে ৭০০ বছরের বেশি। যদিও অযত্নে–অবহেলায় পুরোনো ঐতিহ্যের এসব স্মারক হারিয়ে যাওয়ার পথে। মোগল আমলের তৈরি এমনই এক মসজিদ হচ্ছে উত্তর হালিশহরের চৌধুরীপাড়ায় আজগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ। চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ থেকে সোজা পশ্চিমে তিন কিলোমিটার গেলেই হালিশহরের বড়পোল এলাকা।