রমজানে মক্কা বিজয়: মানবতার শ্রেষ্ঠ বিজয়
বিশ্ব মানবতার কেন্দ্রভূমি মক্কা মুকাররমাকে পঙ্কিলতামুক্ত করার জন্য অষ্টম হিজরিতে বিশ্বনবী নীরব আয়োজন করলেন। তিনি ধ্বংস চান না, তিনি কুরাইশদের রক্ষা করতে চান। তিনি চান প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে।
Auto Added by WPeMatico
বিশ্ব মানবতার কেন্দ্রভূমি মক্কা মুকাররমাকে পঙ্কিলতামুক্ত করার জন্য অষ্টম হিজরিতে বিশ্বনবী নীরব আয়োজন করলেন। তিনি ধ্বংস চান না, তিনি কুরাইশদের রক্ষা করতে চান। তিনি চান প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে।
জাকাত, ফিতরা ও সদকা সম্পদ বণ্টন ও দারিদ্র্য নিরসনের একটি মাধ্যম। সঠিক প্রদানে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নতি সাধিত হয়। কোরআন ও হাদিস জাকাতের আটটি খাত ও উপকারিতা নির্দেশ করে। জাকাত দেওয়া যায় না পিতা-মাতা, ঊর্ধ্বতন পুরুষ, সন্তান, স্ত্রী, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বংশধর, ধনী ও অমুসলিমদের। নিসাবের নিচে আত্মীয়দের দেওয়া যায় এবং তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। দান করার সময় গ্রহীতার সম্মান রক্ষা করা প্রয়োজন। জাকাত ও ফিতরা দেওয়ার আগে হকদার নির্ধারণ করা জরুরি।
যে জনতা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং নিজের জীবন ও বিষয়সম্পত্তি হারিয়ে সবচেয়ে বড় মূল্য দিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমাদের রক্তের ঋণ আছে।
যদি কখনো কেউ এমন অসুস্থ হয়ে পড়েন, যাতে তার পক্ষে রোজা রাখা কঠিন হয় অথবা কেউ যদি সফরে বা ভ্রমণরত থাকে এবং যারা রোজা পালনে সক্ষম নয়, তাদের জন্য ইসলামি শরিয়তে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে।
নামাজ শেষে সাহাবায়ে কিরাম প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আজ যা দেখলাম, তা এর আগে কখনো দেখিনি; এটা কি কোনো নতুন নিয়ম নাকি?
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে অগণিত মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘দুর্ভাগা তারা, যারা রমজান পেয়েও মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভ করতে পারল না।’ (বুখারি)
দান-খয়রাত ও ফিতরা-জাকাত আদায় রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি সমাজের অবহেলিত–বঞ্চিত মানুষের জন্য সহায়ক। কিন্তু কখনো কখনো এ মহতী কাজেও অনেকে ভুল পদক্ষেপ নেন।
কোনো মুসলিম নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে সেদিন থেকে এক চান্দ্রবছর (৩৫৪-৩৫৫ দিন) পূর্ণ হলে তাকে জাকাত প্রদান করতে হয়। এরপর তিনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকলে প্রতি চান্দ্রবছরে একবার জাকাত প্রদান করতে হয়।
নবীয়ে আকরাম (সা.) বলেন, ‘তোমরা সাহ্রি খাও, কেননা সাহ্রিতে রয়েছে বরকত।’ (বুখারি, ১৮০১)। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রোজা আর আহলে কিতাবদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সাহ্রি খাওয়া আর না খাওয়া।’