Auto Added by WPeMatico
গত এক দশক ধরে দেশে ‘নিয়মমাফিক’ বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু তাতে সত্যিকারের জনমতের কোনো প্রতিফলন ঘটছে না। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত সব ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রের সংকট আজ প্রবলভাবে দৃশ্যমান। এই অবস্থার পরিবর্তন না ঘটলে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের অনীহা বা অনাগ্রহ কাটবে না।
ট্যাক্সের আয় বাড়াতে সরকার অগ্রিম আয়করের দিকে বেশি নজর দিতে চাচ্ছে। এর ফলে যারা ট্যাক্স দেন, তাঁদের ওপর চাপ পড়বে। সরকার অনেক দিন ধরে আয়কর প্রদানকারীদের সীমা বাড়াতে চাচ্ছে, কিন্তু বলার মতো সফলতা নেই। কেন? এই দায় কেন যাঁরা দেন, তাঁদের বহন করতে হবে?
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে মোকাবিলা না করে এখন নিজেরা নিজেদের মোকাবিলা করছেন। জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনেও তারা আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সত্যিকার ‘ম্যাচটি’ কবে হবে?
বান্দরবানের চলতি অবস্থার শেষ কোথায়, সেটা কেউ জানে না। বমদের অনেক গ্রাম এখন মানুষশূন্য। কোথায় চলে গেলেন এসব মানুষ, তার কোনো হদিসও পাওয়া গেল না সংবাদমাধ্যমে।
বন্ধুহীন হয়ে তারা চরম মানসিক অশান্তিতে পড়ে একমুখী হয়ে যায়। স্থূলকায় তরুণ-তরুণীদের নানা কারণে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। কায়িক পরিশ্রম ও খেলাধুলা করতে না পারায় তাদের বন্ধুর সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। হীনম্মন্যতায় পতিত হয়ে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
আজ ১৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সহজ জয় পাবে বলে অনেকেই বলছেন।
এই নির্বাচনে একেপি পেয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখন তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় ১০টি মহানগরসহ ৩৫টি প্রদেশই শাসন করবেন সিএইচপির মেয়ররা।
রমজান মাস মুমিনের জীবনে ইমানের শক্তিকে প্রবল করে তোলে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে ইমান, সলাত, জাকাত, হজ এবং সিয়ামের বিশেষ গুরুত্ব আছে। রমজানে কোরআন অবতীর্ণ হওয়া, নামাজের পালন, জাকাত প্রদানের সহজতা, ওমরাহ পালনের ফজিলত এবং ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে গরিবের সহায়তা বিষয়গুলো উঠে এসেছে। রমজানের শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এবং ইতিকাফ আল্লাহর সন্নিধ্য লাভের এক অনন্য মাধ্যম। রমজানের ফিদইয়া ও কাফফারা বিধানের মাধ্যমে দুর্বল ও অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য রোজার বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। ফিতরা রমজানের আনন্দকে সামাজিকভাবে বিস্তৃত করে। মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী উল্লেখ করেন, রমজানের এই মূল উদ্দেশ্যগুলো মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে এবং সামাজিক কল্যাণ বৃদ্ধি করে।
রমজান মাসে সিয়াম সাধনা মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে ধনীরা গরিবের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারেন; ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা অনুভব করতে পারেন।
রমজান মাস আত্মসুরক্ষা ও নৈতিক শক্তি অর্জনের সময়। ষড়্রিপুর ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মানুষকে সুসভ্য করে তোলা হল এর উদ্দেশ্য। অনৈতিক কাজ, অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ এবং অবৈধ পন্থায় ব্যবসা করা মানুষ রমজানের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। হালাল উপার্জন ও হালাল খাদ্য গ্রহণ ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। মিথ্যা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া ব্যবসায়ীর আয় হালাল হবে না, তাঁদের ইবাদতও কবুল হবে না। রমজানে পঞ্চেন্দ্রিয়ের সংযমী ব্যবহার এবং তার সঠিক প্রয়োগে নৈতিকতা ও রোজার সফলতা নিহিত।
